
ফ্রান্স প্রতিনিধি : ইউরো বাংলা প্রেসক্লাব ফ্রান্স আয়োজিত “তথ্য অধিকার : প্রযুক্তি ব্যবহার “শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শাহ জালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের প্রফেসর ডক্টর খালিদুর রহমান।
ইউরো বাংলা প্রেসক্লাব ফ্রান্স’র সভাপতি তাজ উদ্দিন এর সভাপতিত্বে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মইনুল হকের পরিচালনায় গত কাল রবিবার (২০ জুলাই ২৫)সন্ধ্যায় প্যারিসে এক হল রুমে অনুষ্ঠিত হয়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মানবাধিকার নেতা সেলিম আহমদ,লিগাল এইডের চেয়ারম্যান আজাদ মিয়া, জবরুল ইসলাম, মূল প্রবন্ধের উপর আলোচনা করেন ইউরো বাংলা প্রেসক্লাবের কেন্দ্রীয় সভাপতি তাইজুল ফয়েজ, আলোচনায় অংশ নেন লন্ডন প্রবাসী যুবনেতা হাসান আহমদ,
কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য পরিবেশবাদী সাংবাদিক শেখ এমরান, গোলাপগঞ্জ হেল্পিং হ্যান্ড এর সভাপতি আমিনুর রহমান লেচু,ছাত্রনেতা সমাদুর রহমান অপু, শিহাব আহমদ, হাসান আহমদ, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ক্লাবের অর্থ সম্পাদক আহমদ লুবেদ,
সেমিনারে প্রস্তাবনা’র মধ্যে রয়েছে
১. তথ্য অধিকার বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। ইউনিয়ন পর্যায়ে ক্যাম্পেইন, স্কুল-কলেজে কর্মশালা আয়োজন করা যেতে পারে।

২.প্রযুক্তি ব্যবহারে প্রশিক্ষণ প্রয়োজন,
যেমন: ওয়েবসাইটে কিভাবে তথ্য খুঁজতে হয়, কীভাবে আবেদন করতে হয় ইত্যাদি।
৩. সরকারি ওয়েবসাইটগুলোকে আরও ব্যবহারবান্ধব করতে হবে।
সহজ ভাষায় তথ্য উপস্থাপন ও নিয়মিত হালনাগাদ নিশ্চিত করতে হবে।
৪. নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
যেমন, মহিলা ডিজিটাল সেন্টার, গ্রামীণ তথ্য সহায়তা বুথ, তথ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে, যাতে কেউ তথ্য চেয়ে হয়রানির শিকার না হন।
৫. প্রবাসীদের অংশগ্রহণমূলক পরিসংখ্যান:
“Participatory statistics” বা অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতির মাধ্যমে প্রবাসীদের সরাসরি যুক্ত করা যেতে পারে, দূতাবাসে ডেটা ফর্ম এর মাধ্যমিক বিভাগ ভিত্তিক পরিসংখ্যান পরিচালিত করা যেতে পারে।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন সেমিনারের প্রস্তাবনা আমি শুনেছি সে বিষয়ে আমাদের পরিসংখ্যান বিভাগ থেকে কার্যক্রম ভূমিকা রাখতে সচেষ্ট থাকব।
বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর শ্রম ডলারে রূপান্তরিত হয়ে আমাদের দেশের টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে, সে বিষয়টি আমরা অনেকেই জানিনা। আমরা বলি বিদেশে টাকা পাচার হচ্ছে, আসলে কি টাকা পাচার হচ্ছে, এটা ডলার হচ্ছে, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পরিশ্রম ও প্রবাসী রেমিটেন্স
দেশের অর্থনৈতিক চাকাকে সচল করে আর সেই টাকা আবার ডলার হয়ে বিদেশে পাচার হয়ে যায়।
আমরা যেদিন অর্থ পাচার রুখতে পারবো, সেদিন আমাদের দেশ একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে