গঠনতন্ত্র

অনুচ্ছেদ: ১০

পদত্যাগ ও সদস্যপদ বাতিল


ক) কোনো অস্থায়ী সদস্য, স্থায়ী সদস্য অথবা সহযোগী সদস্য তাঁর সদস্যপদ প্রত্যাহার করতে চাইলে ক্লাবের সভাপতি বরাবরে লিখিতভাবে পদত্যাগপত্র পেশ করবেন। কমিটি কর্তৃক তা গৃহীত হলে তিনি আর ক্লাবের সদস্য থাকবেন না। তবে উক্ত সদস্যের কাছে ক্লাবের কোনো পাওনা (যদি থাকে) থাকলে তা তাঁকে অবশ্যই পরিশোধ করতে হবে। ক্লাব কর্তৃপক্ষ বকেয়া আদায়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

খ) কোনো স্থায়ী সদস্য, অস্থায়ী সদস্য সাংবাদিকতা পেশা ত্যাগ করলে কিংবা অফিস অব বেনিফিট বিশেষ করে সরকারি/আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে পূর্ণকালীন অন্য কোনো কাজে যোগদান করলে কমিটি তাঁর সদস্যপদ বাতিল করবে। তবে তাঁর সদস্যপদ বাতিল করার আগে তাঁকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ (কমপক্ষে পনের দিন সময় দিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তিসহ) দিতে হবে।

গ) ক্লাবের অর্থ ও সম্পদ তছরুফ অথবা অনুরূপ কোনো অনৈতিক কাজে অভিযুক্ত হলে এবং তা প্রমাণিত হলে ঐ সদস্য সদস্যপদ হারাবেন। তবে তাঁর আগে তিনি আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাবেন। এক্ষেত্রে এই অনুচ্ছেদের ১০ চ ধারা অনুসরণ করতে হবে।

ঘ) কোনো সদস্যের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অথবা কমিটি যদি স্বপ্রণোদিতভাবে ক্লাবের ভেতরে অথবা বাইরে কোনো স্থায়ী, অস্থায়ী, সহযোগী সদস্যের আচরণে বা মিথ্যা তথ্য প্রদানের কারণে মনে করে যে তাঁর সদস্য থাকা বাঞ্ছনীয় নয়, তাহলে তাঁকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করতে পারবে। চূড়ান্ত শাস্তিসহ (স্থায়ী/মেয়াদি বহিষ্কার অথবা অর্থদ- বা ক্লাবসুবিধা কর্তন) সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে এই অনুচ্ছেদের (চ) ধারা অনুসরণ করতে হবে।

ঙ) কোনো সদস্য/ ব্যবস্থাপনা কমিটির কর্মকর্তা ক্লাবের অর্থ ও সম্পদ আত্মসাৎ, দুর্নীতি, আর্থিক অনিয়ম বা ক্লাবের স্বার্থের পরিপন্থী কোনো কর্মকা-ের অভিযোগে অভিযুক্ত হলে এবং এ ধরনের অভিযোগ প্রমাণিত হলে

ব্যবস্থাপনা কমিটির পরবর্তী বৈঠকে তাঁর সদস্যপদ সাময়িকভাবে স্থগিত করা যেতে পারে। ওপরের বিষয়গুলো বিবেচনার জন্য আহূত বৈঠকে কমিটি এ অনুচ্ছেদের (চ) ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।

চ) কমিটির এ ধরনের বৈঠকের কোরামের জন্য তিন-চতুর্থাংশ সদস্যের উপস্থিতির প্রয়োজন এবং যে সদস্যের অভিযোগ সম্পর্কে কমিটি বিবেচনা করবে সেই সদস্যের ব্যাপারে কমিটির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে কমিটির কাছে তাঁর বক্তব্য ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিতিতে অথবা লিখিতভাবে পেশ করার সুযোগ দিতে হবে। কমিটির এ ধরনের বৈঠক-অনুষ্ঠান সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সদস্যকে ক্লাব রেজিস্টারে সংরক্ষিত ঠিকানায় রেজিস্টার্ড ডাকযোগে চিঠি দিয়ে অবহিত করতে হবে। অভিযোগ তদন্তের জন্য ব্যবস্থাপনা কমিটির একজন কর্মকর্তা/কার্যকরী সদস্যের নেতৃত্বে অপর দুজন স্থায়ী সদস্যের সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট নিয়ে কমিটির বৈঠকে আলোচনার পর উপস্থিত সদস্যের দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে। এই সিদ্ধান্ত পরবর্তী দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভায় অনুমোদন করতে হবে।

ছ) কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাপনা কমিটি উপর্যুক্ত যে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি ক্লাবের সদস্যপদ হারাবেন এবং সদস্যের প্রাপ্য সব সুযোগ-সুবিধার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন।

জ) কোনো সদস্য চাকরিচ্যুত হলে ছয় মাস পর্যন্ত ক্লাবের সদস্য থাকতে পারবেন। তবে তাঁর চাকরির ব্যাপারে নিয়োগকারীর বিরুদ্ধে আদালতে কোনো মামলা থাকলে, নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনি সদস্য থাকতে পারবেন।

ঝ) এই অনুচ্ছেদের অন্যান্য ধারার সাথে সাংঘর্ষিক না হলে স্থায়ী সদস্য পদে থেকে যিনি সাংবাদিকতা পেশায় টানা কমপক্ষে ২০ বছর অতিবাহিত করেছেন এবং ঐ সময়ে কমিটি তাঁর বিরুদ্ধে কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নিলে পরবর্তীকালে তিনি সাংবাদিকতা পেশায় সক্রিয় না থাকলেও সদস্যপদ বহাল থাকবে।

ঞ) কোনো সদস্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (তথ্যপ্রযুক্তি) ক্লাব/ক্লাব সদস্য এবং রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিরোধী যে কোনো তৎপরতায় সরাসরি কিংবা আকারে ইঙ্গিতে সম্পৃক্ত হলে তাঁর বা তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাপনা কমিটি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারবে। এ ক্ষেত্রে ১০ (চ) অনুচ্ছেদ এবং দেশের এ সংক্রান্ত প্রচলিত আইন অনুসৃত হবে।

ট) কোনো সদস্য মৃত্যুবরণ করলে তার সদস্যপদ রহিত হবে। তবে ঐ সদস্যের তথ্যাদি সংরক্ষিত থাকবে। তার পরিবারের সদস্যরা এক বছর পর্যন্ত অনুচ্ছেদ ১(৮) অনুযায়ী সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন।