গঠনতন্ত্র

অনুচ্ছেদ: ১৪

কমিটির সভা ও কোরাম

কমিটি কার্য নির্বাহের উদ্দেশ্যে সভায় বসতে পারে, সভা মুলতবি করতে পারে এবং কাজের সুবিধার্থে প্রয়োজন মাফিক সভা আহবান ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। মোট সদস্যের কমপক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য কমিটির সভার কোরাম গঠন করবে।

তবে সর্বদা এ শর্ত থাকে যে, কমিটির পর পর তিনটি সভা কোরামের অভাবে অনুষ্ঠিত হতে না পারলে, ঐ ক্ষেত্রে সাধারণ সম্পাদক সভাপতির পরামর্শ বা সম্মতিক্রমে অবিলম্বে ক্লাবের বিশেষ সাধারণ সভা আহ্বান করবেন। কিন্তু অন্য কোনো উদ্দেশ্যে তা করা যাবে না।

অনুচ্ছেদ: ১৫

কমিটির সভা আহ্বান ও বিজ্ঞপ্তি

ক) সাধারণ সম্পাদক কমিটির সভাপতির পরামর্শক্রমে কমপক্ষে তিন দিনের বিজ্ঞপ্তিতে কমিটির সভা এবং ২৪ ঘণ্টার বিজ্ঞপ্তিতে কমিটির জরুরি সভা যে কোনো সময়ে আহ্বান করবেন। গঠনতন্ত্রের নিয়ম অনুসরণ করে সাধারণ সম্পাদকই জরুরি সভা, সাধারণ সভাসহ সব সভা আহ্বান করবেন। এ ধরনের সভায় প্রস্তাবিত কার্য নির্বাহের প্রকৃতি সম্পর্কে আলোচ্যসূচি বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করতে হবে।

খ) কমিটির যেকোনো পাঁচ কর্মকর্তা/ কার্যকরী সদস্যের লিখিত দাবিতে সাধারণ সম্পাদক কমিটির সভা আহ্বান করবেন।

অনুচ্ছেদ: ১৬

কমিটির অতিরিক্ত ক্ষমতা

গঠনতন্ত্রের অনুচ্ছেদ অথবা উপ-বিধিসমূহে বর্ণিত বা তদানুযায়ী যে কোনো কর্তৃত্ব, ক্ষমতা ও কার্যাধিকার প্রয়োগক্ষমতার বাইরে ক্লাবের স্বার্থে জরুরি কোনো পদক্ষেপ বা উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন হলে কমিটি তা গ্রহণ করতে পারবে। তবে তা পরবর্তী দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভায় অবশ্যই অনুমোদন নিতে হবে।

অনুচ্ছেদ: ১৭ উপ-কমিটি নিয়োগ, ক্ষমতা এবং বাতিল

কমিটি সময়ে সময়ে প্রয়োজনে সদস্যদের সমন্বয়ে উপ-কমিটি গঠন করবে। গঠিত উপ-কমিটিকে যেকোনো ক্ষমতা এবং কার্যাধিকার দিতে পারবে এবং প্রয়োজন মনে করলে উপ-কমিটি বাতিল বা পূণর্গঠন করতে পারবে। এভাবে গঠিত উপ-কমিটির ওপর সময়ে সময়ে কমিটি যে সব নিয়ম-কানুন আরোপ করবে সে অনুযায়ী উপ-কমিটি ক্ষমতা প্রয়োগ করবে। প্রতিটি উপ-কমিটিতে সাধারণ স্থায়ী সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করা যাবে।

অনুচ্ছেদ: ১৮

সাধারণ সভা ও বার্ষিক বিশেষ অধিবেশন এবং তলবি সভা

দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা ব্যতীত অন্য সব সাধারণ সভা অতিরিক্ত সাধারণ সভা বলে গণ্য হবে। দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা ছাড়াও প্রতি ইংরেজি বর্ষের ডিসেম্বরের মধ্যে একটি সাধারণ সভা অনুষ্ঠান করতে হবে। এই সভায় ক্লাবের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি (যদি থাকে) পেশ করতে হবে। তা সভায় উপস্থিত সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে অনুমোদন পেতে হবে। এ সভা বার্ষিক বিশেষ অধিবেশন নামে অভিহিত হবে। এ সভায় ব্যবস্থাপনা কমিটির পরিকল্পনা, বাজেট বা অন্যান্য বিষয়াদি থাকলে তা উপস্থাপন করা যাবে।

ক) কমিটি বিশেষ প্রয়োজনে এবং যে কোনো সময়ে অতিরিক্ত সাধারণ সভা ডাকতে পারবে।

খ) মোট সদস্যের এক-চতুর্থাংশের আবেদনক্রমে কমিটিকে তলবি সাধারণ সভা ডাকতে হবে।

গ) কমিটির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব কেবল এতদউদ্দেশ্যে আহূত তলবি সাধারণ সভায় উপস্থাপন করতে হবে। তবে এ ধরনের তলবি সভা মোট সদস্যের পঞ্চাশ শতাংশের অধিক সদস্যের স্বাক্ষরযুক্ত আবেদনক্রমে করতে হবে। এ ধরনের তলবি সভার কোরাম পূর্ণ হবে ক্লাবের মোট সদস্যের দুই-তৃতীয়াংশের উপস্থিতিতে এবং কোরাম সশরীরে থাকাকালীন অবস্থায় অনাস্থা প্রস্তাব সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে কার্যকর হবে। এই ধরনের তলবি সভায় সভাপতিত্ব করবেন পূর্ববর্তী দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভার সভাপতি । যদি তিনি অনুপস্থিত থাকেন বা অপারগতা প্রকাশ করেন তাহলে তলবি সভায় উপস্থিত সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হবেন।