অনুচ্ছেদ: ৩৬
হিসাব-নিকাশ
ক) কমিটি ক্লাবের আয় প্রাপ্ত ও ব্যয়কৃত সব অর্থের প্রকৃত হিসাব রাখার ব্যবস্থা নেবে এবং যে সব বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে এ ধরনের আয় প্রাপ্তি ও ব্যয় ঘটেছে সে সবের এবং ক্লাবের যে সব সম্পত্তি, পরিসম্পদ, ঋণ, চুক্তি এবং দায়-দায়িত্ব ও মালামাল ক্রয়-বিক্রয় সম্পন্ন করবে, সেসবের বিস্তারিত বিবরণ ও নথিপত্র যথাযথভাবে সংরক্ষণ করবে। এক্ষেত্রে দেশের প্রচলিত নিয়ম-কানুন অনুসরণ করা হবে।
খ) ক্লাবের সব আয়-ব্যয়ের হিসাব রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব অর্থ-সম্পাদকের মাধ্যমে কমিটির থাকবে। চট্টগ্রামে যে সব ব্যাংকের শাখা আছে সে সব ব্যাংকে ক্লাব চলতি, সঞ্চয়ী (প্রয়োজনবোধে স্থায়ী আমানত) হিসাব (অ্যাকাউন্ট) রাখবে। কোন ব্যাংকে ক্লাবের হিসাব রাখা হবে তা নির্ধারণ করবে ব্যবস্থাপনা কমিটি।
গ) উল্লিখিত সব ব্যাংক হিসাব হবে ক্লাবের নামে এবং সব লেনদেন কার্যক্রম সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং অর্থ সম্পাদকের (তিন জনই হিসাবের পরিচালক হবেন) যেকোনো দু’জনের যুক্ত স্বাক্ষরে পরিচালিত হবে। ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকার ঊর্ধ্বে উত্তোলনের প্রয়োজন হলে তিন জনের স্বাক্ষর বাধ্যতামূলক।
অনুচ্ছেদ: ৩৭ হিসাব পরিদর্শন ও ব্যালেন্স শিট
ক্লাবের কার্যালয়ে হিসাব বই রাখা হবে অথবা সংশ্লিষ্ট বিধি মোতাবেক কমিটির নির্ধারিত কোনো স্থানে বা স্থানসমূহে রাখা হবে এবং কমিটির সদস্যদের পরিদর্শনের জন্য যুক্তিসঙ্গত সময়ে তা খোলা থাকবে। এ হিসাব বই বার্ষিক সাধারণ সভার ১৫ দিন আগে কমিটি নির্ধারিত স্থানে স্থায়ী সদস্যদের পরিদর্শনের জন্য খোলা রাখতে হবে।
ক্লাবের দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের ৪৮ ঘণ্টা আগে অডিটরদের প্রতিবেদনসহ অডিট করা প্রতিটি ব্যালেন্স শিটের একটি করে কপি, যাকে অর্থ বিবরণী বা ফাইনেন্সিয়াল স্টেটমেন্ট বলে গণ্য করা হয়, সেটা সদস্যদের দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। উল্লিখিত ধারাসমূহে বর্ণিত আয়-ব্যয়ের হিসাব, প্রতিবেদন ক্লাবের দ্বি-বার্ষিক সভায় পেশ করা হবে।
অনুচ্ছেদ: ৩৮
অডিটর নিয়োগ
দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভায় পরবর্তী দু’বছরের জন্য অডিটর নিয়োগ করতে হবে।
অনুচ্ছেদ: ৩৯ চূড়ান্ত হিসাব বিবরণী
দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভায় অর্থ বিবরণী বা ফাইনেন্সিয়াল স্টেটম্যান্ট নিরীক্ষিত ও অনুমোদিত হলে এবং অনুমোদনের তিন মাসের মধ্যে তাতে ভুল-ত্রুটি ধরা না পড়লে তা চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। উল্লিখিত সময়ের মধ্যে অর্থ বিবরণীতে কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি ধরা পড়লে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থাপনা কমিটি তা সংশোধন এবং স্থায়ী সদস্যদের লিখিতভাবে অবহিত করবে।
অনুচ্ছেদ: ৪০ গঠনতন্ত্র সংশোধন এবং কপি সংরক্ষণ
ক্লাবের গঠনতন্ত্রই হবে ক্লাব পরিচালনার মূল ভিত্তি। কমিটি ও ক্লাবের সব সদস্য/সদস্যাকে অবশ্যই এ গঠনতন্ত্রের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং তার ধারা, উপধারাসমূহ মেনে চলতে হবে। সময়ের প্রয়োজনে গঠনতন্ত্রের কোনো ধারা, উপধারা সংশোধন বা পরিবর্তন করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব হলে নিম্নে বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে –
ক. গঠনতন্ত্র সংশোধন প্রক্রিয়া বিশেষ সাধারণ সভার মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে।
খ. কমিটি যদি গঠনতন্ত্র সংশোধন করা প্রয়োজন মনে করে তবে কমিটির প্রস্তাবনা বিশেষ সাধারণ সভার দু’মাস আগে অবশ্যই প্রত্যেক সদস্যের কাছে পৌঁছাতে হবে।
গ. স্থায়ী সদস্যদের মধ্যে কেউ যদি গঠনতন্ত্র সংশোধনের প্রয়োজন অনুভব করেন তিনি এ সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা লিখিত আকারে কমিটির কাছে পেশ করবেন। এ ক্ষেত্রে ন্যূনতম বিশ জন সদস্যের সমর্থন সংবলিত স্বাক্ষর প্রস্তাবনায় সংযুক্ত করতে হবে।ঐ সদস্যের প্রস্তাব কমিটি বিবেচনা করবে। এক্ষেত্রে ক ধারা অনুসরণ করতে হবে।
কেবল এভাবে প্রচারিত হওয়ার পরই কোনো সংশোধনী প্রস্তাব বিশেষ সাধারণ সভার আলোচ্যসূচিভুক্ত হয়ে উক্ত সাধারণ সভায় আলোচনা (স্থায়ী সদস্যের সংশোধনী প্রস্তাবের ক্ষেত্রে এ প্রস্তাবের ওপর ব্যবস্থাপনা কমিটির পর্যালোচনা সমীক্ষাসহ) বিবেচনার জন্য উত্থাপিত হবে।
ঘ. এ ধরনের সংশোধনী প্রস্তাব ক্লাবের মোট স্থায়ী সদস্যসংখ্যার কমপক্ষে শতকরা ষাট ভাগ সদস্যের উপস্থিতিতে এবং উপস্থিত সদস্যদের শতকরা একান্ন ভাগ স্থায়ী সদস্যের ভোটে (সংশোধনীর পক্ষে) গৃহীত হতে হবে।
ঙ. ক্লাবের গঠনতন্ত্রের একটি প্রামাণ্য কপির প্রতি পৃষ্ঠার উপরে এবং নিচে সাধারণ সম্পাদকের অনুস্বাক্ষরে, ক্লাবের সিলমোহর যুক্তাবস্থায়, সংশ্লিষ্ট সংশোধনী প্রস্তাব পাসকারী সাধারণ সভার সভাপতির স্বাক্ষরসম্বলিত হয়ে কমিটির তত্ত্বাবধানে ক্লাবের মূল্যবান দলিল হিসেবে যথাযথ নিরাপত্তা হেফাজতে থাকবে। প্রয়োজনে উপর্যুক্ত নিয়মে এই কপি একের অধিক তৈরি করা যেতে পারে, বা সত্যায়িত কপি তৈরি করে নেয়া যাবে।
অনুচ্ছেদ: ৪১
বিলুপ্তিকরণ
ক্লাবের বিলুপ্তিকরণ বা ভেঙে দেওয়ার ব্যাপারে অত্র সংবিধানের অনুচ্ছেদ:১ এর ৬ ধারার বিধানাবলি এ অনুচ্ছেদে পুনরায় একইভাবে উল্লিখিত হয়েছে বলে বিবেচিত হবে এবং তা কার্যকর ও অনুসৃত হবে।
অনুচ্ছেদ: ৪২ ক্লাবের অবলুপ্তি ঘটলে সম্পত্তি বিলি বন্দোবস্ত
ক্লাব অবলুপ্ত হওয়ার বা ভেঙে যাওয়ার পর ক্লাবের সব ও সম্পূর্ণ দায়দায়িত্ব পরিশোধ করেও যদি কোনো সম্পত্তি অবশিষ্ট থাকে তবে তা ক্লাবের স্থায়ী সদস্যদের মধ্যে বিলিবণ্টন করা হবে।