অনুচ্ছেদ: ৫
ভোটাধিকার, সদস্যপদ স্থগিত, পুনর্বহাল ও পরিবর্তন
১. কেবল ক্লাবের স্থায়ী সদস্যরাই ভোট প্রদানের অধিকার ভোগ করবেন। স্থায়ী সদস্যরাই ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনে প্রার্থী, প্রার্থীর প্রস্তাবক, সমর্থক হতে পারবেন।
২.কোনো স্থায়ী সদস্য অথবা অন্যান্য শ্রেণির কোনো সদস্য কর্ম উপলক্ষে যদি বিদেশে অবস্থান করেন, কোনো সদস্য নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য যদি রাষ্ট্রীয় বা জাতীয় দায়িত্বে নিয়োজিত হন তাহলে সদস্যপদ সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার জন্য আবেদন করতে হবে। ক্লাবের কোনো প্রকার পাওনা/বকেয়া থাকলে তা অবশ্যই পরিশোধ করতে হবে। এভাবে সদস্যপদ স্থগিত থাকাকালীন তাঁকে ক্লাবের মাসিক চাঁদা দিতে হবে না। ক্লাবের পক্ষ থেকেও তিনি উক্ত সময়ে কল্যাণ তহবিল বা অন্যান্য সবধরনের সুবিধা পাবেন না। উক্ত সদস্য দেশে ফিরে বা রাষ্ট্রীয়/জাতীয় দায়িত্ব পালনের মেয়াদ শেষে যদি সাংবাদিকতা পেশায় আবার নিয়োজিত হন তাহলে স্থগিত সদস্যপদ পুনর্বহালের আবেদন করতে পারবেন। ব্যবস্থাপনা
কমিটি যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে তা অনুমোদন করতে পারে। তবে বকেয়া পাওনা থাকলে তাঁকে তার দ্বিগুণ পরিশোধ করতে হবে।
৩. কর্মস্থল বাংলাদেশ বা ইইউরোপীয় ইউনিয়ন ভূক্ত দেশে থেকে অন্য কোথাও স্থানান্তরিত হলে অথবা পেশা বদল হলে স্থায়ী সদস্য তাঁর সদস্যপদ স্থগিত রাখার আবেদন করবেন। কোনো সদস্য তা না করলে কমিটি যাচাই-বাছাই করে এ ধরনের সদস্যপদ বাতিল করবে। তবে যেসব সদস্য নিজেরা আবেদন করে সদস্যপদ স্থগিত করাবেন তাঁরা পুনরায় পেশায় ফিরে আসার পর বা কর্মস্থল স্থানান্তরিত হওয়ার পর সদস্যপদ পুনর্বহালের আবেদন করতে পারবেন। কমিটি তা যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে অনুমোদন করবে। তবে উল্লেখ থাকে যে, এ ধরনের আবেদনের ক্ষেত্রে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে স্থায়ী সদস্যপদ বাতিল বা স্থগিত হলে তা পুনর্বহালের বিবেচনার ক্ষমতা দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভার ওপর ন্যস্ত থাকবে। আবেদনের সপক্ষে ব্যবস্থাপনা কমিটি একটি প্রতিবেদন দাখিল করবে। অন্য কোনো কারণে সদস্যপদ স্থগিত হলে তা বিবেচনার ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা কমিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে, তাও দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভায় অনুমোদন করতে হবে। তবে অস্থায়ী সদস্যদের ক্ষেত্রে সদস্যপদ সরাসরি বাতিল হবে।